দিদির ছবি সহ ব‍্যানার এর উপরে লাগানো হল দাদার ছবি সহ ব‍্যানার : চাঞ্চল‍্য রাজনৈতিক শিবিরে

23rd November 2020 12:11 pm বর্ধমান
দিদির ছবি সহ ব‍্যানার এর উপরে লাগানো হল দাদার ছবি সহ ব‍্যানার : চাঞ্চল‍্য রাজনৈতিক শিবিরে


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  ‘লড়াইয়ের মাঠে  দেখা হবে ’ ,আমরা দাদার অনুগামী।এমন উদ্ধৃতি লেখা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ ফ্লেক্সে এবার ছয়লাপ হল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর। এখানকার ব্লক তৃণমূল অফিস লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড ,বাজার ও হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুর আশেপাশে শুভেন্দু আধিকারীর ছবি দেওয়া একাধিক ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে ।হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুতে  ওঠার মুখে একেবারে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ছবি দেওয়া ফ্লেক্সের উপরে লাগানো হয়েছে  শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ।সোমবার সকালে  বিষয়টি জানাজানি হতেই  তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জামালপুর বিধানসভার তৃণমূল শিবিরে ।রবিবার রাতের অন্ধকারে কারা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স লাগালো সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব । রাজ্য রাজনীতিতে এখন সবথেকে চর্চিত ব্যক্তি হলেন দাপুটে নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ।তিনি তৃণমূলে থাকবেন নাকি তৃণমূল ছাড়বেন সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল । তৃণমূলের অন্দরেও এই বিষয়টি নিয়ে জল্পনার অন্তনেই ।তৃণমূলের  কোন কোন মন্ত্রী ও  সাংসদ শুভেন্দু  অধিকারীকে বাক্যবানে বিদ্ধ করছেন । আবার কেউ কেউ শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসাও করছেন । এতকিছুর মাঝেই শুধু ফ্লেক্স লাগিয়েই রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে বেজায় দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে  দাদা অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ।  রাজ্যের অন্যান জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকেও এখন শুভেন্দু  অধিকারীর ছবি সহ ফ্লেক্সের  ঘনঘটা বাড়ছে।  
খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথের খাসতালুক পূর্বস্থলী দক্ষিন বিধানসভা এলাকাতেও  জানান দিয়েছে দাদার অনুগামীরা। এছাড়াও মেমারি ,মন্তেশ্বর ,ধাত্রীগ্রাম, কালনা , কাটোয়া  এলাকায়ও ছয়লাপ হচ্ছে  নানা উদ্ধৃতি লেখা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে । এবার শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে ছয়লাপ হল তৃণমূলের এস সি ,এস টি ,ওবিসি সেলের রাজ্য সভাপতি উজ্জ্বল প্রামাণিকের রাজনৈতিক ক্ষেত্র জামালপুর বিধানসভা এলাকা ।এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শ্রীমন্ত রায় আবার সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য ।জমালপুরের  সবথেকে জনবহুল এলাকায় তৃণমূল নেত্রীর ছবির উপরে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে দেখে শ্রীমন্ত বাবু  বেজায় চটে গিয়েছেন ।  শ্রীমন্ত রায় এদিন বলেন ,“কারা এই ফ্লেক্স লাগিয়েছে সেবিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করা হবে । যারা এই ফ্লেক্স লাগিয়েছে তারা আদতে দাদার অনুগামী নাকি  বিজেপির দাদাল, সেই বষয়টিও দলীয় ভাবে খতিয়ে দেখে  উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হবে। “ অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ- সভাধীপতি দেবু টুডুর সফ  জবাব ,“সিপিএম ও বিজেপির দালালরা অস্থিরতা তৈরি করতে রাতের অন্ধকারে দাদার অনুগামী দাবি করে ফ্লেক্স লাগাচ্ছে ।  ” যদিও জামালপুর বিধানসভার বিজেপি কনভেনার জীতেন ডকাল বলেন , “শুভেন্দু অধিকারী নিজে বলছেন মুখমন্ত্রী ওনাকে তাড়ায়ে দেন নি ,উনিও মুখ্যমন্ত্রীকে ছেড়ে যান নি । তার মানে শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলেরই নেতা ও মন্ত্রী ।সেই মন্ত্রীর অনুগামীরা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি  উপরে তাঁদের দাদার ফ্লেক্স লাগাচ্ছে । সবটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ । অথচ তৃণমূলের নেতারা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে।এটাই  সবথেকে লজ্জাকর বিষয় । ” 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।